আপডেট : ০৬ মে ২০২৩, ০৮:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ মুনাফায় ৫ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাব বছরের তুলনায় কোম্পানিগুলোর শেয়ারপ্রতি লোকসান থেকে মুনাফা ফিরেছে। এর আগে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেয়। কোম্পানিগুলো হলো-ইফাদ অটোস লিমিটেড, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ও এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড।
ইফাদ অটোস: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০২ টাকা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৭৮) টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৭.৯২ টাকা। ফার কেমিক্যাল: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০২ টাকা। পয়সা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.০৬) টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা।
গোল্ডেন হারভেস্ট: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০১ টাকা
আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.০৩) টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩.৪১ টাকা। খুলনা পাওয়ার: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.১৬ টাকা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (১.৯৭) টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯.৩৫ টাকা। এপেক্স ট্যানারি: চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৬৮ টাকা। আগের হিসাব বছর একই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.৫২) টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫২.১১ টাকা।
এক বছর আগে লোকসানে থাকলেও চলতি বছরে মুনাফায় ফিরেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি
এর মধ্যে রয়েছে- হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, ন্যাশনাল টিউব, আনলিমা ইয়ার্ন, জাহিন স্পিনিং, ইভিন্স টেক্সটাইল, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, আফতাব অটোমোবাইল, স্টাইলক্রাফট, হাক্কানী পাল্প ও রহিমা ফুড। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিগুলো চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে মুনাফার এ চিত্র উঠে এসেছে। হাইডেলবার্গ সিমেন্ট চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৯৭ পয়সা লোকসান হয়। ন্যাশনাল টিউব চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৯ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪৩ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬৬ পয়সা লোকসান হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান হয়।
আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ২০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৩৪ পয়সা লোকসান হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১১ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৫৫ পয়সা লোকসান হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১৯ পয়সা লোকসান হয়। ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৩৫ পয়সা লোকসান হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৫৯ পয়সা লোকসান হয়
আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১ টাকা ৭৫ পয়সা লোকসান হয়। আফতাব অটোমোবাইল চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৩৯ পয়সা। চলতি বছরের তিন মাসে মুনাফা হওয়ায় চলমান হিসাব বছরের নয় মাসেও (২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) কোম্পানিটি মুনাফায় রয়েছে। চলমান হিসাব বছরের নয় মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৬৫ পয়সা। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬৫ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৩ পয়সা।
আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৮৬ পয়সা লোকসান হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি এক টাকা ৬ পয়সা লোকসান হয়। জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল। চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ২ পয়সা লোকসান হয়। আর ২০২২ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ১৩ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ৬ পয়সা লোকসান হয়।