বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিদ্যুৎ ভবনে গ্রাহক সন্তুষ্টি জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
৬টি বিতরণ কোম্পানির ১৫ হাজার ২৪৫ গ্রাহকের সার্ভে পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে আবাসিক ৯০.৯৩ শতাংশ, শিল্প দশমিক ৮৯ শতাংশ, বাণিজ্যিক ৮ শতাংশ এবং সেচ দশমিক ১৮ শতাংশ। সার্ভেতে অংশ নেওয়া গ্রাহকদের মধ্যে ৫২.০১ শতাংশ প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী।
সারাদেশে মাত্র ৫ শতাংশ গ্রাহক প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন। সেখানে ৫২ শতাংশ বাছাই করায় সার্ভের নিরপেক্ষতা ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো: সেলিম উদ্দিন।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে যখন ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা বলা হয়েছিল। তখন অনেকেই ব্যঙ্গ করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা দারুণভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
সিনিয়র সচিব বলেন, আপনারা যে সময়ে (মার্চ-মে) সার্ভে করেছেন তখন লোডশেডিং কম ছিল। জুলাই আগস্টে বেশি লোডশেডিং হয়েছে। মূলত জ্বালানি সংকটের কারণে লোডশেডিং হয়েছে তখন। আমার বাসায় ১৫ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলে অস্থির হয়ে যাই, বিদ্যুৎ থাকবে না কেনো। গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাইবে এটা তাদের ন্যায্য চাওয়া। আমরা ভবিষ্যতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবো।
তিনি বলেন, বিল বেশি মিটার রিডারদের ভুলের কারণে আমরা স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের দিকে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে। তখন আর এই অভিযোগ থাকবে না।
প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত আচরণগত সন্তুষ্টি। আচরণগত সমস্যা দূর করতে, যত আধুনিকায়ন হবে তত মিডলম্যান থাকবে না। তখন সেবার মান বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলীসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টায় ১৩২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে। বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে সব মূল্য সূচক। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় প্রধান শেয়ারবাজারে ১৩২ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার হাতবদল হয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৪ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়েছে৷ শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই এস’ একই সময়ে দশমিক ৬০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলোর ‘ডিএস ৩০’ সূচকে যোগ হয়েছে ১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট।
সূচকের ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতার সঙ্গে শেয়ারবাজারে লেনদেনেও গতি ফিরেছে। প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৫৯৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১৩২ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৪৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে ১২১টির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৪৩টির। বিপরীতে ৭৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।