খুচরা বিক্রয় বিষয়ে মাত্র দুই মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি বেকার বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন বাটা, অ্যাপেক্স, স্বপ্ন, মীনা বাজার, আর্টিসানসহ নামকরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। Bd news Bangla
এ সাফল্যকে উদযাপন করতে বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্র্যাকের স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এসডিপি) আয়োজন করেছে ‘তরুণদের জন্য খুচরা খাতে (রিটেইল সেক্টর) সফল ক্যারিয়ার’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ পাওয়া ৭ ব্যক্তি তুলে ধরেন তাদের জীবন বদলে যাওয়ার গল্প। এছাড়া প্রশিক্ষিতদের চাকরি ও শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, মিনিসো, মীনা বাজার, আর্টিসান আউটফিটার্স লিমিটেড, বাটা, আমানা বিগ বাজার, ইউনিমার্ট, স্বপ্ন, স্বদেশ পল্লী, মিরর। তবে এ উদ্যোগের সঙ্গে ছিল ১৫০টিরও বেশি বেসরকারি খাতের অংশীদার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)-এর চেয়ারপারসন ও অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আবদুস সামাদ, সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আলফাজ হোসেন এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (সমন্বয় ও অ্যাসেসমেন্ট) ও যুগ্ম সচিব আলিফ রুদাবা।
সম্পর্কিত খবর
- ডিম-আলু-পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার
- দেশের বাজারে আবারো বাড়লো সোনার দাম
- আগস্টে প্রবাসী আয় কমল ২১.৫৬%
ব্র্যাকের এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খানের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এতে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর তাসমিয়া রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।
‘প্রোগ্রেসিং দ্যা রিটেইল সেক্টর বাই ইম্প্রুভিং ডিসেন্ট এমপ্লয়মেন্ট’শীর্ষক এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে আইকেইএ ফাউন্ডেশন ও ইউবিএস অপ্টিমাস ফাউন্ডেশন।
এটি বাংলাদেশের প্রথম খুচরা বিক্রয় প্রশিক্ষণ মডিউল, যা সরকারের স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এতে গত তিন বছরে প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৫,৪০০ জন, যাদের ৬০শতাংশ নারী এবং ৬ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। প্রশিক্ষিতদের ১২০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি লিম্ব সাপোর্টসহ সহায়ক ডিভাইস পেয়েছেন। Bd news Bangla
হ্রাস পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি-রপ্তানি
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেসরকারি ঋণের বড় অংশই আসে আমদানির মাধ্যমে। আমদানি কম হওয়ায় এই খাতে ঋণের প্রবাহও বেশ কমে গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বেসরকারি খাতে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি বৈদেশিক ঋণের স্থিতি ছিল ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। গত জুনে তা কমে ৬৯ কোটি ডলারে নামে। ওই সময়ে ঋণের স্থিতি কমেছে ১১ শতাংশ। তবে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়ছে। জুলাইয়ে ছিল ৬২ কোটি ডলার, আগস্টে তা বেড়ে হয় ৭১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে তা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭১ কোটি ৯৮ লাখ ডলারে। আগের ঋণের মেয়াদ বাড়ানো ও বাড়তি সুদের কারণে এ খাতে পরিশোধ হচ্ছে কম। যে কারণে স্থিতি বেড়েছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম বলেন, একতরফা নির্বাচন বিদেশিরা কখনো মেনে নেবে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে শুধু অর্থনৈতিক বিষয়ই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রে নানা ধরনের বাধা আসতে পারে। বড় কোনো দেশ থেকে এই ধরনের বাধা এলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে। দেশের ইমেজ নষ্ট হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ও জড়িত। এই ছাড়া বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগে দেশটির অবস্থান শীর্ষ কাতারে রয়েছে। পাশাপাশি অনুদান থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা আসে। বৈদেশিক ঋণের অন্যতম উৎস যুক্তরাষ্ট্র। এসব খাতে দেশটি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কমে গেলে বাংলাদেশে ডলারের প্রবাহে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হঠাৎ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বিকল্প উৎস খুঁজে পাওয়া আমাদের জন্য বেশ কঠিন হবে। তখন ডলার সংকট আরও প্রকট হবে। দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে এর ভয়ানক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন অর্থনীতিবিদরা।